শ্যামল প্রান্ত ডেস্ক :: বিয়ানীবাজারের ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার সিএনজি অটোরিকশার চালক বিপাকে পড়েছেন। মূলত ফিলিং স্টেশনে এক মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, বরাইগ্রাম-বিয়ানীবাজার, সারপার-বিয়ানীবাজারসহ অন্যান্য রোডগুলোতে চলাচলকারী অটোরিক্সাগুলোর চালকদের যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হচ্ছে।মারজান আহমদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সারপার থেকে বিয়ানীবাজারের ভাড়া ৩৫ টাকা। তবে এখন ৫০ টাকা করে জন প্রতি ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। মজুদ শেষ হওয়ায় শুক্রবার থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিয়ানীবাজার শহরের সুপাতলা এলাকার মাহমুদ (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন। পরবর্তীতে বৈরাগীবাজার এলাকার শাহজালাল ফিলিং স্টেশনও গ্যাস সংকটের ঘোষণা দেয়। ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বড়লেখার, চলাচলকারী অটোরিকশাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী উপজেলার গ্যাস সরবরাহকারী ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সংকট দেখা গেছে। তারা আনুষ্ঠানিক বন্ধের ঘোষণা না দিলেও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। মাহমুদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও শাহজালাল ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত অটোরিকশার চালক লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আসায় তাদের চোখেমুখে হতাশা। অটোরিকশার চালক আব্দুল করিম বলেন, এক সপ্তাহ গ্যাস পাবো না। রুটিরুজি বন্ধ থাকবে। কিভাবে পরিবার নিয়ে চলবো বুঝতে পারছি না। আরেক চালক সোহেল আহমদ জানান, গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এজন্য নিয়মিত লাইনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ২টি ফিলিং স্টেশনের ১টি চলতি মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে। গাড়ির ভাড়তি চাহিদায় একটির মজুদও ফুরিয়ে এসেছে গতকাল রাতে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগে তারা আর গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না। সিএনজি অটোরিকশা সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, জেলা এবং উপজেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ির সাথে অসংখ্য রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিকশা রাস্তায় চলাচলের জন্য বিব্রতকর ব্যাপার সৃষ্টি হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চালকরা এখন বেকার। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, গ্যাস সংকটের সমস্যা দূর হবে দ্রুত। তবে গ্যাস সংকটের অজুহাত দেখিয়ে কেউ ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করতে পারবে না।