শ্যামল প্রান্ত ডেস্ক :: হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাটাগাঙ্গ নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও নবজাত সন্তানকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। উদ্ধারের পর পুলিশের সহযোগীতায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে মা ও নবজাতককে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ কাটাগাঙ্গ নদীর তীর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মা এবং নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ নারীর পরিচয় জানা যায়নি। মানসিক ভারসাম্যহীন নারীটি মা হওয়ায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এই সন্তানের বাবা কে বা কারা? কাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী? এমন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগের গ্রাম পুলিশ তাজ উদ্দিন স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর মা ও শিশুটিকে নদী তীরে দেখতে পান। এসময় তিনি পাশ্ববর্তী গ্রামের এক ধাইসহ নারীদের ডেকে আনেন। গ্রামের নারীরা এসে তাদের পরিস্কার করেন। এরপর গ্রাম তাজ উদ্দিন মিয়া বিষয়টি শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে অবগত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক ফজলুর রহমান তাদের সেখান থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন। গ্রাম পুলিশ তাজ উদ্দিন বলেন, ভোর সকালে তিনি জমিতে কাজ করার সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান নদীর তীরে অজ্ঞাত নামা এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। বাচ্চাটি তখন ঘাসের উপর পড়ে ছিলো গর্ভফুল লাগানো অবস্থায়। তখন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ধাত্রীকে সেখানে নিয়ে আসি এবং তার মাধ্যমে গর্ভফুল কেটে পরিস্কার করা হয়। বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ফজলুর রহমানকে জানানো হলে তিনি স্থানীয়দের সহযোগীতায় মা ও নবজাতককে নদীর তীর থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন। গ্রাম পুলিশ তাজ উদ্দিন বলেন, এ নারী শুধু তার নাম আনজুরা ছাড়া আর কোন কিছুই বলতে পারছেন না।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শেখ মাসুদুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী হাওরে সন্তান প্রসব করেছেন। বর্তমানে তিনি নবজাতকসহ শিবপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও জুয়েল ভৌমিক বলেন, হাওরে এক নারী সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি ভালো করে কথা বলতে পারেন না। ফলে তার পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে আমাদের আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।