মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্য। আর সেই পলিথিন ব্যবহারের পরে ফেলা হচ্ছে উপজেলার নদী খাল বিল ও পুকুরে।
ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদী তীরে নিষিদ্ধ পলিথিনে স্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং উপজেলাব্যাপী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তেমনি ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এ পলিথিন ব্যাগ।
জানা গেছে, পলিথিনের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা নদী পরিবেশ দূষণসহ ভরাট হচ্ছে।
বাজারের দোকানদারদের ব্যবহারে মনে হচ্ছে পলিথিন নিষিদ্ধ নয়। আগের মতো চলছে সর্বস্তরে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের স্বাভাবিক ব্যবহার। থেমে নেই পলিথিনের ব্যবহার। নেই বাধা দেওয়ার কেউ। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মুদি দোকান, ফলের দোকান, কসমেটিক্সের দোকানসহ সর্বস্তরে
জেলার সকল উপজেলা, জগন্নাথপুরসহ সব বাজারেই চলছে খোলাখুলি পলিথিন ব্যবহার। যদিও দেড় যুগ আগে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদান হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পলিথিন ব্যাগ। সেইসঙ্গে আইন প্রণয়ণ করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর উৎপাদন, কিন্তু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে আইন প্রয়োগসহ নানা কার্যক্রম বিদ্যমান থাকলেও মিলছে না কার্যকরী কোনো সমাধান।
ব্যাবসায়ী ও সুধী সমাজ জানায়, পলিথিন ব্যাবহার নিষিদ্ধ থাকলেও সেটা ভুলে গেছে উপজেলাবাসী। সেইসঙ্গে পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে কোনো অভিযান আর চোখে পড়ে না। উল্টো বেড়েছে আইনে নিষিদ্ধ এ পলিথিনের তৈরি ব্যাগের যথেষ্ট ব্যবহার। কাঁচাবাজার থেকে মুদি দোকান কিংবা হকার থেকে বিপণিবিতান সর্বত্রই মিলছে পলিথিন ব্যাগ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, পলিথিন ব্যাগের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। ক্যান্সার, কিডনি, চর্মরোগ এবং বন্ধ্যত্বসহ নানা রোগের অন্যতম কারণ পলিথিনে থাকা কেমিক্যাল। এটির লাগাম এখনই টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে এমন নানা রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হবে বলে শঙ্কা তাদের।
সচেতন নাগরিকরা নেতা বলেন, আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ পলিথিন সামগ্রি উৎপাদন, আমদানী বা বাজারজাত করে তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা, এমনকি উভয় দণ্ডও হতে পারে।
বন্ধন যুব সংঘের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, পলিথিন একটি মারাত্মক ক্ষতিকর জিনিস, যা এরই মধ্যে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। পলিথিন বিক্রয় ও যেখানে সেখানে ফেলা উচিত নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।