স্মৃতি তর্পন, কথা, কবিতা, গানে সম্প্রতি প্রয়াত সংগীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অন্তপ্রাণ সাদি মহম্মদকে স্মরন করল কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীবৃন্দ। “তুমি রবে নীরবে, সাদি মহম্মদ” শিরোনামে আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ, শুক্রবার সাড়ে রাত আটটায়। টরন্টো দুর্গা বাড়ি’র স্হায়ী মঞ্চে একটি রবীন্দ্র সংগীতের আবহ সুর বাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। এরপর মঞ্চে বসা শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। আর মঞ্চের পাশে রাখা ডায়াসে এসে দাঁড়িয়ে প্রয়াত সংগীত শিল্পী সাদি মহামদের সতীর্থ, সহপাঠী, সহকর্মী, শিল্পীর সরাসরি ছাত্র, সংবাদ কর্মী, গুণমুগ্ধরা স্মৃতি চারণ করেন। কেও কেও প্রথিতযসা এই রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীকে খুব কাছ থেকে কিভাবে, কেমন দেখেছেন তার বর্ণনা করেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লেখক, সংগঠক সাদী আহমেদ, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, মানু হালদার, রাখাল সরকার, রিয়েলটর শান দে, নৃত্য শিল্পী ও শিক্ষক সুলতানা হায়দার, কবি দেলওয়ার এলাহী, আলী আজগর খোকন, জ্যোতি দত্ত পুরকায়স্থ ও রাশেদ শাওন। অকাল প্রয়াত শিল্পীর পাওয়া, না পাওয়া,তাঁর পরিবার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিল্পীর শহীদ বাবা সলিমউল্লাহ এর কথা, মা ও পরিবারের সঙ্গে শিল্পীর ঘনিষ্ঠতা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন তাঁরা বক্তারা। কথার ফাঁকে ফাঁকে সংগীত পরিবেশন করেন চীত্রা সরকার, নাহিদ কবির কাকলি, মৈত্রেয়ী দেবী, ফারহানা শান্তা, সঙ্গীতা মুখার্জি, বাবলু হক, শিখা আখতারি, আরিয়ান হক ও অনিরুদ্ধ সুর। নৃত্য পরিবেশন করেন বিপ্লব কর ও তার দল, অরুণা হায়দার এবং সীমা বড়ুয়া। হিমাদ্রী রায় এর আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শেষ হয়। বিশেষ এই আয়োজনে তবলা বাজান অপরুপ বড়ুয়া, কিবোর্ডে ছিলেন রুপতনু শর্মা। শব্দ নিয়ন্ত্রণে গ্যারি খ্রিষ্টফার রোজারিও, ছবি, ভিডিও ধারণ ও মঞ্চসজ্জায় রাশেদ শাওন, পোস্টারের নকশা করেন ফাতমা খান বিদুর। আয়োজনটি পরিকল্পনা, পরিচালনা, সঞ্চালনা করেন হিমাদ্রী রায়। উল্লেখ্য, সাদি মহম্মদ ১৩ই মার্চ আত্মহত্যা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ বাসভবন থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সদ্য প্রয়াত এই শিল্পীর জন্ম ৪ঠা অক্টোবর ১৯৫৭ সালে। সাদি মহম্মদ ছিলেন একজন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি