মৌলভীবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ঈদুল আযহা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের গবাদিপশুর বাজার জমে উঠলেও দাম নিয়ে হতাশ খামারিরা। গরু পালনের খরচের চেয়ে বাজারে প্রতিটি গরু ১৫/২০ হাজার টাকা কম দাম হচ্ছে। জেলার রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার গবাদি পশুর হাটে ক্রেতা, বিক্রেতা, খামারি ও সাধারণ গবাদিপশু পালনকারীদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা যায়। খামারি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আসায় দামের এমন চিত্র।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, এবার মৌলভীবাজারে ৮৪ হাজার ৮শ’ ১২টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, গবাদিপশুর খামার রয়েছে ৫ হাজার ৩শ’ ৬৯টি। কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ৫শ’ ৪২টি গবাদিপশু।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গরুর বাজারে শত শত খামারি ও ব্যবসায়ী গরু নিয়ে বিক্রির জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রেতারা দরদাম করছেন। চাহিদামতো দাম না পাওয়ায় খামারিরা গরু বিক্রি করছেন না। জেলার হাওর তীরবর্তী অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর দাম অনেকটা নেমে গেছে। গরু নিয়েও দুর্ভোগে পড়েছেন খামারিরা।
আল ইখওয়ান এগ্রো ফার্মের মালিক নোমান আহমদ বলেন, এখন (গতকাল) পর্যন্ত একটিও গরু বিক্রি করতে পারিনি। চাহিদার তুলনায় প্রতিটি গরুতে ২৫/৩০ হাজার টাকা কম দাম হচ্ছে। তিনি বলেন, এবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও সময়মতো সেবা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, গো খাদ্যের দাম গতবারের চেয়ে দিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার খামারি রিয়াজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গরু ক্রয়, খাবার ব্যয় ও লালন পালন করতে যত ব্যয় হয়েছে তার চেয়ে প্রতিটি গরুতে ১৫/২০ হাজার টাকা কম দাম হচ্ছে। ভারত থেকে অবৈধপথে গরু আসায় দাম কমেছে বলে তিনি মনে করেন।
রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের খামারি মতু মিয়া বলেন, বাজারে গরু বেশি থাকায় ক্রেতারা দামে উঠছেন না। এবার প্রতিটি গরুতে ১০ হাজারের মতো লোকসান হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, অন্য জেলা থেকে গরু আসায় দাম একটু নেমেছে। তবে আগামীকাল (আজ) গরুর প্রকৃত দাম বুঝা যাবে। খামারিদের অভিযোগ ভারত থেকে অবৈধপথে গরু আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যৌথ বৈঠক হয়েছে