ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ও পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন।
সোমবার (১৭ জুন) এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে দার্জিলিং জেলার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা অভিষেক রায় জানিয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ইফতিকার-উল-হাসান এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সাত যাত্রীর নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। আহত ৩৯ জন যাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
পরবর্তীতে অভিষেক রায় অন্তত ১৫টি মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা উল্টে যাওয়া বগিগুলোর নিচে আর কোনো মরদেহ আছে কিনা তা খুঁজে দেখেছেন।
রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের রাজেশ কুমার সিং বলেছেন, ‘আমরা মাত্র একজন চালক ও একজন প্রহরীর মরদেহ দেখেছি। তাদের মরদেহগুলো বের করে আনা হয়েছে। হয়তো আরও কিছু মরদেহ দুর্ঘটনাস্থলে বগিগুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে। কিন্তু আমরা এখনও সে সম্পর্কে নিশ্চিত না।’
পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে এ দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘উদ্ধার, পুনরুদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলোকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে এ দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আর জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযান চলছে।
ভারতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮১ সালে । তখন বিহার রাজ্যে একটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় ৮০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
গতবছর জুনে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি আধুনিক রেলস্টেশন ও ইলেকট্রনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের সঙ্গে নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে।