মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বানভাসি মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নতুন করে আরও ২০টি পরিবার উঠেছে। এনিয়ে ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৪৬৭টি পরিবার উঠেছে।
এসব কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আরও কয়েকটি পরিবার উঠেছে। এসব কেন্দ্রে মোট ৪৬৭টি পরিবার আছে। তাদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল দেওয়া হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।সার্বক্ষণিক পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। পুকুর ভেসে বেরিয়ে গেছে মাছ। এই অবস্থায় প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরে ঠিকতে না পেরে অনেকে বাধ্য হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন। কেউ আবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানুষজন সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবশ্য বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বাড়তি টাকা দিয়ে নৌকায় চলাচল করছেন।