সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম কর্তৃক দৈনিক ইনকিলাবের শাল্লা প্রতিনিধি আমির হোসাইন ও দৈনিক ভোরের কাগজের শাল্লা প্রতিনিধি সাংবাদিক জয়ন্ত সেনকে হত্যা পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের পরিচালনায় ও সিনিয়র সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম শিক্ষকদের জিম্মি করে স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে। এবং শিক্ষকদের যেকোন কাজে ঘুষ ছাড়া স্বাক্ষর না দেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণের দাবি করে বক্তারা আরো বলেন, এরকম দুর্নীতিবাজদের বাংলার মাঠিতে কোথাও ঠাই দেওয়া ঠিক হবেনা।
মানববন্ধনের পর পরই শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে সালামের অপসারণের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এসময় 'একদফা এক দাবি, সালাম তুই কবে যাবি'। দুর্নীতির গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে' দফা এক দাবি এক সালামের পদত্যাগ' এরকম বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনায় যাদেরকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তারা বিষয়টা নাকচ করে সাংবাদিক আমির ও জয়ন্তর সাথে যোগাযোগ করে হামলার বিষয়টি জানান।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম তার পূর্বের কর্মস্থল গাইবান্ধা, রাঙ্গামাটি, পাবনা ও মাগুরা জেলার কয়েকটি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া, তার বেতনস্কেল নিম্নের গ্রেডে রুপান্তর করা সহ অনেক শাস্তি হয়েছিল। এরই পরিপেক্ষিতে শাল্লায় তাকে শাস্তিমূলক স্থান হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু এখানে এসেও সে থেমে থাকে নি। দুর্নীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। এনিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক কালেরকণ্ঠ সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি