মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
প্রকৃতিতে ফাল্গুনের হাওয়া, বাতাসে বসন্তের উন্মাদনা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। সেই সঙ্গে গানে আর অনুভূতিতে একইদিনে এসেছে ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজের হাত ধরে এসেছে ভালোবাসার দিনটি। তাইতো ঋতুরাজ বসন্তে ভালোবাসার দোলা দিচ্ছে সবার অন্তরে অন্তরে।
আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। সব অতীত পেছনে ফেলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে বর্ণিল সাজে আজ থেকে বদলে যাবে প্রকৃতি। আর কবির ভাষায় জানান দেবে ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।
ভোরের আলো ফুটার সাথে সাথেই নগরবাসী শীতকে বিদায় জানাতে বসন্ত বরণে মেতে উঠবে। তাতে বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণতা। সকাল থেকেই ভিড় শুরু হবে ফুলের দোকানগুলোতে। ভোর থেকে জেগে উঠবে বসন্তের প্রধান উৎসবস্থল চারুকলার বটতলা।
বসন্তকে সামনে রেখে গ্রামবাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সাথে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চেয়ে বিক্রেতারা ফুলের দামও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ উৎসব ঘিরে বসে নেই ফ্যাশন হাউজগুলোও। ফাল্গুন-ভ্যালেনটাইন ঘিরে তারা থ্রি-পিস, কেপ টপ, কাফতান, কুর্তি, শর্ট টপ, ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টিশার্ট, ডাই শার্টসহ সব ধরনের পোশাকে নানা রঙের মিশ্রণে তুলে ধরেছে বসন্তের বার্তা। এ ছাড়া হলুদ, সবুজ, কমলা, বেগুনি, জলপাই, লালসহ বিভিন্ন রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের বসন্ত আয়োজন। মাথায় রাখা হয়েছে সব বয়সী মানুষের কথা। লিনেন, কটন, সিল্ক ও ভয়েল কাপড়ে ফুলেল ও জ্যামিতিক মোটিফে পোশাকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে।